কয়েক মিনিটের মধ্যে সহজ উপায়ে পুরাতন আইডি কার্ড চেক করুন অনলাইনে

কয়েক মিনিটের মধ্যে সহজ উপায়ে পুরাতন আইডি কার্ড চেক করুন অনলাইনে

এখনই পুরাতন আইডি কার্ড চেক করুন অনলাইনে ? এমন কথা হয়তো যেকোনো ব্যক্তির কাছ থেকে একবার হলেও শুনেছেন। বিভিন্ন প্রয়োজনের সাপেক্ষে পুরাতন ভোটের আইডি কার্ড আছে করা প্রয়োজন হয় আমাদের। ২০০৮ সালে সকল ভোটার আইডি কার্ড ইস্যু হওয়ার পর থেকে নানা কারণে আমাদের পুরাতন আইডি কার্ড চেক করার প্রয়োজন হয়। তবে সঠিক নিয়ম না জানার কারণে আমরা অনেকেই পুরাতন ভোটার আইডি কার্ড চেক করতে পারিনা।

তবে চিন্তার কোন বিষয় নেই কারণ পুরাতন ভোটার আইডি কার্ড চেক করা খুব সহজ বর্তমান সময়ে। আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে পুরাতন আইডি কার্ড চেক করার সকল নিয়ম ও পুরাতন আইডি কার্ডের সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য আলোচনা করবো।

পুরাতন ভোটার আইডি কার্ড চেক করার নিয়ম

পুরাতন ভোটার আইডি কার্ড চেক করার জন্য আপনি বেশ কয়েকটি উপায় অবলম্বন করতে পারবেন। তবে আজকের এই আলোচনায় আজ আমরা আপনাকে ৩টি সেরা উপায় জানাবো পুরাতন আইডি কার্ড চেক অনলাইনে করার জন্য। যেমন:

  1. জাতীয় নির্বাচন কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট।
  2. ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট।
  3. উপজেলা নির্বাচন কমিশন অফিস।

পুরাতন ভোটের আইডি কার্ডের চেক করার প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস

ভোটার আইডি কার্ড নতুন হোক বা পুরাতন চেক করতে অবশ্যই ডকুমেন্টসের প্রয়োজন হয়। এসকল তথ্য কেবলমাত্র ব্যক্তিগত পরিচয় প্রমাণের জন্য নয় বরং সরকারি-বেসরকারি সেবা গ্রহণের জন্য প্রয়োজন হয়ে থাকে। যে সকল প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস প্রয়োজন হবে তা হলো:

  • ভোটার আইডি কার্ডের নম্বর অর্থাৎ জাতীয় পরিচয় পত্রের নম্বর।
  • ভোটার আইডি কার্ড অনুযায়ী জন্ম তারিখ।
  • একটি সচল মোবাইল নম্বর।
  • অবশ্যই উক্ত জাতীয় পরিচয়পত্রের মালিককে স্বশরীরে উপস্থিত থাকতে হবে।

এছাড়া এ সকল তথ্য যাচাইয়ের জন্য অবশ্যই একটি ইন্টারনেট সাপোর্টেড মোবাইল বা কম্পিউটার থাকতে হবে। নিম্নে এই ৩টি পদ্ধতি বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো:-

পদ্ধতি ১: জাতীয় নির্বাচন কমিশন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পুরাতন আইডি কার্ড চেক করুন অনলাইনে

জাতীয় নির্বাচন কমিশন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পুরাতন আইডি কার্ড চেক করার জন্য আপনাকে বেশ কিছু ধাপ অনুসরণ করতে হবে। এ সকল ধাপ এ সমূহ যদি একজন নাগরিক সঠিকভাবে অনুসরণ করে তাহলে সে অবশ্যই তার পুরাতন আইডি কার্ড খুব সহজে অনলাইনে চেক করতে পারবেন। নিম্মে এ সকল ধাপ উপস্থাপন করা হয়েছে:

ধাপ ১ : জাতীয় নির্বাচন কমিশন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পুরাতন আইডি কার্ড আর চেক করার জন্য আপনাকে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট ঠিকানায় ভিজিট করতে হবে।

ছবি : অ্যাকাউন্ট রেজিস্টার পেজ

ধাপ ২: পূর্বে যদি অ্যাকাউন্ট রেজিস্টার না করে থাকেন তাহলে অ্যাকাউন্ট রেজিস্টার বাটনে ক্লিক করুনষ

ধাপ ৩: আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বরটি প্রথম বক্সে প্রদান করুন। দ্বিতীয় বক্সে আপনার জন্ম তারিখ প্রদান করুন জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য অনুযায়ী। তৃতীয় বক্সে সঠিক ক্যাপচা পূরণ করুন। যদি এ ক্যাপচাটি বুঝতে আবার সমস্যা হয় তাহলে ক্যাপচার টি রিফ্রেশ করে নিন।

ছবি: সকল তথ্য, এক নজরে দেখে নিন ও সাবমিট বাটনে ক্লিক করুন।

ধাপ ৪: জাতীয় পরিচয় পত্র অর্থাৎ ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য অনুযায়ী আপনার স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা নির্বাচন করুন।

বিশেষ দ্রষ্টব্য: স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা ৩ বার ভুল প্রদান করলে আপনার অ্যাকাউন্টটি লক হয়ে যাবে।

ধাপ ৫: একটি সচল মোবাইল নম্বর দিয়ে মোবাইল নম্বর ভেরিফিকেশন করুন।

ধাপ ৬: NID wallet অ্যাপের মাধ্যমে আর উক্ত ভোটার আইডি কার্ডের মালিকের ফেস ভেরিফিকেশন করুন।

ধাপ ৭ : একটি শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন যদি আপনি পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে না চান সেক্ষেত্রে এড়িয়ে যেতে পারেন তবে পরবর্তীতে লগইন করার জন্য পাসওয়ার্ড ব্যবহার করার সবচেয়ে উত্তম একটি ব্যবস্থা।

ছবি: ড্যাসবোর্ডের ছবি ডাউনলোড অপশন হাইলাইটস

ধাপ ৮ : এরপর আপনি আপনার পুরাতন ভোটার আইডি কার্ড চেক করতে পারবেন। প্রয়োজনে আপনি ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করে পুরাতন ভোটার আইডি ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে নিতে পারবেন।

পদ্ধতি ২: ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পুরাতন আইডি কার্ড চেক করুন অনলাইনে

ভূমি ও মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটের সাথে কম বেশি আমরা সবাই পরিচিত। তবে অনেকেই জানেন না যে ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পুরাতন ভোটার আইডি কার্ড চেক করা যায়। পুরাতন আইডি কার্ড চেক করার পাশাপাশি যাদের স্মার্ট কার্ড রয়েছে তারা একই পদ্ধতি অনুসরণ করে জাতীয় পরিচয় পত্র যাচাই করতে পারবেন। এক্ষেত্রে নিজের ধাপসমূহ অনুসরণ করুন:

ধাপ ১ :  ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন। ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট ঠিকানা land.gov.bd লিংকে ভিজিট করুন।

ছবি: ওয়েবসাইটের

ধাপ ২: “ভূমি উন্নয়ন কর” অপশনে ক্লিক করুন। “ভূমি উন্নয়ন কর” অপশনে ক্লিক করার পর আপনাকে ভূমি উন্নয়ন কর ব্যবস্থাপনা সিস্টেম লগইন পেজে নিয়ে আসবে।

ছবি: নাগরিক নিবন্ধন পেজের ছবি

ধাপ ৩: নিবন্ধন না করে থাকলে নাগরিক নিবন্ধন করুন। ভূমি উন্নয়ন কর ব্যবস্থাপনা সিস্টেমে যদি আপনার একটি অ্যাকাউন্ট না থেকে থাকে সে ক্ষেত্রে আপনাকে নতুন একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে।

অ্যাকাউন্ট করার জন্য আপনাকে আপনার সচল একটি মোবাইল নম্বর প্রদান করতে হবে। আপনি মানুষ কিনা রোবট সেটি বিবেচনার জন্য আপনাকে একটি সহজ গাণিতিক ক্যাপচা পূরণ করতে হবে। উপরোক্ত তথ্যসমূহ  সঠিকভাবে প্রদান করার পর আপনি একবার সকল তথ্য মিলিয়ে নিন এবং “পরবর্তী পদক্ষেপ” বাটনে ক্লিক করুন।

ছবি: নিবন্ধন ছবি ও পরবর্তী পদক্ষেপ বাটন হাইলাইট।

পরবর্তী পেজে, ওটিপিপি ভেরিফিকেশন সম্পন্ন করুন। পূর্ববর্তী পেজে আপনি যে সচল মোবাইল নম্বরটি প্রদান করেছেন উক্ত মোবাইল নম্বর একটি ওটিপি কোড প্রদান করা হয়েছে উক্ত করতি আপনি এই ফাঁকা বক্সে প্রদান করে “যাচাই করুন” বাটনে ক্লিক করুন।

ছবি: হাইলাইট করতে হবে বক্স সহ যাচাই করুন বাটন।

“যাচাই করুন” বাটনে ক্লিক করার পর আপনাকে নতুন একটি পেজ দেখানো হবে এক্ষেত্রে আপনার মনে থাকে এমন ৮ অক্ষরের পাসওয়ার্ড প্রদান করুন। এক্ষেত্রে একই পাসওয়ার্ড “নতুন পাসওয়ার্ড” ও “পাসওয়ার্ড নিশ্চিত বক্সে তথ্য প্রদান করুন। পরবর্তী বক্সে গাণিতিক ক্যাপচা পূরণ করতে হবে। যদি সমস্ত তথ্য সঠিক হয়, তাহলে “সংরক্ষণ করুন” বোতামে ক্লিক করুন।

ছবি: পাসওয়ার্ড পেইজে পাসওয়ার্ড টাইপ করে দেখান ও সংরক্ষণ করুন বাটন হাইলাইট করুন।

ধাপ ৪ : নাগরিক নিবন্ধন প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গেলে আপনি নাগরিক লগইন অপশনে ক্লিক করে, আপনার নিবন্ধিত মোবাইল নম্বর, পাসওয়ার্ড ও গাণিতিক ক্যাপচা পূরণ করে “লগইন করুন বাটনে ক্লিক করুন”।

ছবি: নাগরিক লগইন পেজ ও সঠিক তথ্য সহ

ধাপ ৫ : লগইন হওয়ার পর ড্যাশবোর্ড থেকে মেনুতে ক্লিক করে “এনআইডি ভেরিফাই করুন” বাটনে ক্লিক করতে হবে। উক্ত ফর্মে আপনাকে আপনার এন আইডি নাম্বার ও জন্মতারিখ প্রদান করতে হবে। অতঃপর আপনাকে ভেরিফাই করুন বাটনে ক্লিক করতে হবে।

ছবি: ধাপ ৫ ভালো করে হাইলাইট করতে হবে।

ধাপ ৬ : আইডি কার্ড ভেরিফিকেশন সফল হলে আপনার প্রোফাইলে প্রবেশ করতে পারবেন। তখন নিম্নে থাকা ছবির মত একটি নতুন ইন্টারফেস দেখতে পাবেন যেখানে আপনার সকল তথ্য আমি সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা রয়েছে।

ছবি: ধাপ ৬ ভালো করে হাইলাইট করতে হবে।

পদ্ধতি ৩: উপজেলা/জেলা নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে পুরাতন আইডি কার্ড চেক করুন

আপনি যদি উপরে দুইটি পদ্ধতি ব্যবহার করে পুরাতন জাতীয় পরিচয়পত্র অর্থাৎ পুরাতন আইডি কার্ড চেক করতে ব্যর্থ হওয়ায় বা কঠিন মনে করে থাকেন সেক্ষেত্রে আপনার পুরাতন আইডি কার্ড চেক করার সর্বশেষ উপায় উপজেলা বা জেলা নির্বাচন কমিশনে স্বশরীরে উপস্থিত হওয়া। উপজেলা বা জেলা নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বশীল কর্মকর্তার নিকট জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর ও জন্মতারিখ প্রদান করলে তারা আপনাকে আপনার পুরাতন ভোটার আইডি কার্ডটি চেক করে নিতে পারবেন।

পুরাতন আইডি কার্ড বের করার নিয়ম

পুরাতন আইডি কার্ড বের করা খুবই সহজ এক্ষেত্রে আপনি ৫টি ধাপ অনুসরণ করতে পারেন। ৫টি ধাপ হচ্ছে:

(১) প্রথমত আপনার স্থানীয় থানায় সাধারণ ডায়েরি অর্থাৎ জিডি করুন।

(২) NID Service ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন  করুন পূর্বে অ্যাকাউন্ট রেজিস্টার না করে থাকলে।

(৩) এনআইডি ইস্যুর আবেদন করুন ও প্রয়োজনীয় ফি প্রদান করুন।

(৪) পুরাতন এন আইডি কার্ড ডাউনলোড করুন।

(৫) ২,৩,৪ ধাপ যদি আপনি অনুসরণ না করতে চান এক্ষেত্রে আপনি আপনার স্থানীয় নির্বাচন কমিশন অফিসে গিয়ে থানার সাধারণ ডায়েরির কপি অর্থাৎ জিডি কপি, আপনার এন আই ডি নাম্বার, জন্মতারিখ ও নির্ধারিত ফি প্রদান করুন। এক্ষেত্রে খুব কম সময়ের মধ্যেই আপনি আপনার পুরাতন NID আইডি কার্ড হাতে পেয়ে যাবেন।

পুরাতন ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার নিয়ম

২০০৮ সালে নিবন্ধিত হওয়া বা অনেক আগের নিবন্ধিত হওয়া পুরাতন ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে হলে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস ও ২৩০ টাকা রিইস্যু ফি প্রদান করে অনলাইন থেকে NID আইডি কার্ডের অনলাইন কপি ডাউনলোড করা যায়। তবে এই পদ্ধতিটি তখনই অনুসরণ করা হয় যখন পুরাতন জাতীয় পরিচয় পত্রটি হারিয়ে যায় বা নষ্ট হয়ে যায় তখন। এ সকল নিয়ম অনুসরণ করে পুরাতন আইডি কার্ড ডাউনলোড করুন অনলাইনে খুব সহজেই। নিম্নে ধাপ সমূহ উপস্থাপন করা হয়েছে:

ধাপ ১ : জিডি করুন ও সংরক্ষণ করুন

যদিও নতুন আইডি কার্ড অনলাইন থেকে ফ্রিতে ডাউনলোড করার সুযোগ রয়েছে। তবে পুরাতন ভোটার আইডি কার্ড পুনরায় পেতে হলে আপনার স্থানীয় থানায় জিডি করতে ও জিডি কপিটি আপনাকে সংরক্ষণ করতে হবে আপনার নিকট। এক্ষেত্রে আপনি জিডি কপির ফটোকপি আপনার কাছে রাখতে হবে।

ধাপ ২ : NID কার্ড ডাউনলোড করুন

জাতীয় নির্বাচন কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট services.nidw.gov.bd-এ রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ২৩০ টাকা ফি প্রদান করে পুরাতন ভোটার আইডি কার্ডের রিইস্যুর জন্য জিডি কপি আপলোড করুন। এটি ১ কর্ম দিবসের মধ্যে সম্পন্ন হবে।৩০তম কর্ম দিবসের মধ্যে NID এর আবেদন সাধারণত অনুমোদন হয়ে যায়। আবেদনটি অনুমোদন হলে পুরাতন আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন।

পুরাতন আইডি কার্ডের জন্য স্থানীয় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার নিয়ম

উক্ত যে ব্যক্তির ভোটার আইডি কার্ড হারিয়ে গিয়েছে বা নষ্ট হয়ে গিয়েছে উক্ত ব্যক্তি স্থানীয় থানায় গিয়ে এই মর্মে সাধারণ ডায়েরি করতে হবে এই মর্মে, “আমার আইডি কার্ডটি হারিয়ে গিয়েছে বা নষ্ট হয়ে গিয়েছে “। তবে জিডি করার জন্য থানায় অর্থাৎ পুলিশ স্টেশনে কোন ফি (চার্জ) প্রদান করতে হয় না।

সাধারণ ডায়েরি অর্থাৎ জিডি লেখার পর সেটি দুইটি কপি করে নিবেন। দুইটি কাগজে দায়িত্ব প্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তার নাম,থানার শিক, জিডি নাম্বার,ও তারিখ লিখে দিবে। জিডি কপির একটি কপি থানায় রেখে দিবে ও অন্যটি আপনাকে দিয়ে দিবে। আপনাকে প্রদান করার কপিটি আপনি স্ক্যান করে আপনার সাথেই রাখুন।

NID Service রেজিস্ট্রেশন করার নিয়ম

NID Service রেজিস্ট্রেশন করার জন্য আপনাকে যে সকল ধাপ অনুসরণ করতে হবে। তা হলো:

  • NID Service ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন করার জন্য service.nidw.gov.bd/nid-pub/ লিংকে ক্লিক করার পর “অ্যাকাউন্ট রেজিস্টার” বাটনে ক্লিক করুন।
  • আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর ও জন্ম তারিখ এবং সঠিক ক্যাপচার পূরণ করে সাবমিট করুন।
  • আপনার বর্তমান ঠিকানা ও স্থায়ী ঠিকানা নির্বাচন  করুন।
  • মোবাইল নম্বর ভেরিফিকেশন করুন।
  • NID wallet অ্যাপের মাধ্যমে ফেস ভেরিফিকেশন করুন।
  • একটি শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন পরবর্তীতে লগইন করার জন্য।

NID card রি এসো আবেদন করার নিয়ম

বাংলাদেশ এনআইডি অ্যাপ্লিকেশন সিস্টেমে সফলভাবে লগইন করার পর নিম্নের ছবির মতো একটি ড্যাশবোর্ড দেখতে পাবেন। ড্যাশবোর্ড থেকে রিইস্যু বাটনে ক্লিক করুন।

ছবি: রিইস্যু হাইলাইটস

রিইস্যু” বাটনে ক্লিক করার পর আপনাকে একটি নতুন পৃষ্ঠায় ভোটার আইডি কার্ডের ইস্যু ফরম পূরণ করার জন্য নির্দেশিত করা হবে। ফরমটি পূর্ণ করার জন্য এডিট বাটনে ক্লিক করতে হবে।

ছবি: এডিট বাটনে ক্লিক করার পর সকল অপশন হাইলাইট করতে হবে।

এই ফর্মে যে সকল তথ্য আপনাকে প্রদান করতে হবে তাহলো:

  • ভোটার আইডি কার্ড পূর্ণ মুদ্রণ এর কারণ কি এটি উল্লেখ করতে হবে। যেমন: হারিয়ে গিয়েছে, নষ্ট হয়েছে।
  • জিডি নম্বর প্রদান করতে হবে।
  • থানার নাম উপস্থাপন করতে হবে।
  • দায়িত্বশীল পুলিশ কর্মকর্তার নাম ও পদবী প্রদান করতে হবে।
  • জিডির তারিখ উপস্থাপন করতে হবে দিন-মাস-বছর অনুযায়ী। যেমন: ২২-১১-২০২৪

মূল কথা যে,আপনি যে জিডির কপিটি আপনার কাছে সংরক্ষণ করেছেন, উক্ত কপিটির তথ্য অনুযায়ী তথ্য পূরণ করুন।

ধাপ ২: ট্রানজেকশন করুন

ধাপ ১ এ, সকল তথ্য প্রদান করার পর “পরবর্তী” বাটনে ক্লিক করলে আপনার অ্যাকাউন্টে বর্তমান “ব্যালেন্স ০ টাকা” প্রদর্শন করবে।এক্ষেত্রে আপনাকে মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাপ বিকাশের মাধ্যমে রিইস্যু ফি ২৩০ টাকা পেমেন্ট করতে হবে। বিকাশের মাধ্যমে ইস্যু ফি প্রদান করার ধাপ সমূহ:

ছবি:  বিকাশের ধাপসমূহ খুব ভালোভাবে উপস্থাপন করতে হবে ছবিতে।

  • বিকাশ অ্যাপ লগইন করুন।
  • পে বিল অপশনে ক্লিক করুন।
  • NID Service অপশনে ক্লিক করুন।
  • আপনার NID নম্বরটি লিখুন।
  •  Duplicate Regular অপশনটি বাছাই করুন।
  • “পে বিল করতে এগিয়ে যান” বাটনে ক্লিক করুন।
  • পিন নাম্বার প্রদান করুন ও কিছুক্ষণ ট্যাপ করে রাখুন।

আপনার অ্যাকাউন্টে যেহেতু পেমেন্ট করা হয়েছে সেহেতু আপনি পূর্ববর্তী পেজে যান অপশন এ ক্লিক করে আবার ট্রানজেকশন পেজে ফেরত আসুন। আপনার ব্যালেন্সে ২৩০ টাকা যোগ হলেই আপনি পরবর্তী বাটনে ক্লিক করবেন।

ধাপ ৩ : কাগজপত্র প্রদান করুন

আইডি কার্ড রিইস্যুর জন্য অবশ্যই প্রমাণ দেখাতে হবে এক্ষেত্রে আপনার কাছে যে জিডি কপিটি রয়েছে সেটি স্ক্যান করে আপলোড করুন ও পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন।

ধাপ ৪: নিশ্চিত করুন পেজ

নিশ্চিত করুন পেজে আপনার আবেদনের সকল তথ্য দেখাবে এক্ষেত্রে কোনো তথ্য ভুল আছে কিনা সেটি চেক করুন ও সকল তথ্য যদি ঠিক থাকে সে ক্ষেত্রে সাবমিট বাটনে ক্লিক করুন।

পুরাতন আইডি কার্ড ডাউনলোড

আপনার পুরাতন আইডি কার্ডটির রিইস্যুর আবেদন করার কিছুদিনের মধ্যেই ১০৫ নম্বর থেকে একটি এসএমএস এর মাধ্যমে আপনার আবেদনের স্ট্যাটাস জানিয়ে দেয়া হবে আপনার আবেদনটি অনুমোদন হয়েছে কিংবা হয়নি।

যদি আপনার আবেদনটি অনুমোদন হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে পুরাতন ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার জন্য অ্যাকাউন্টের ড্যাশবোর্ডে প্রবেশ করুন। এক্ষেত্রে আপনি যদি পূর্বের পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে থাকেন তাহলে খুব সহজেই আপনার অ্যাকাউন্টে লগইন করতে পারবেন। ড্যাশবোর্ডের নিচের দিকে স্ক্রল করলে “ডাউনলোড” বাটন দেখতে পাবেন।

ছবি: ডাউনলোড বাটন হাইলাইট করতে হবে কিন্তু দাদা।

ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করে আপনি আপনার ভোটার আইডি কার্ডটি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন প্রয়োজনে এটি লেমেনেটিং করে নিলেই এটি পুরাতন আইডি কার্ডের মতো হয়ে যাবে।

পুরাতন আইডি কার্ড সম্পর্কিত প্রশ্ন সমূহ

পুরাতন আইডি কার্ড সম্পর্কিত বেশ কিছু প্রশ্ন আমাদের রয়েছে। এ সকল প্রশ্ন আমরা কারণে অকারণে অনলাইনে অনুসন্ধান করে থাকি। এ সকল প্রশ্নের মধ্যে কয়েকটি বিশেষ প্রশ্ন হচ্ছে:

(১) পুরাতন আইডি কার্ড থেকে স্মার্ট কার্ডে রূপান্তর করা কী সম্ভব?

হ্যাঁ, সম্ভব। পুরাতন আইডি কার্ড থেকে স্মার্ট কার্ডে রূপান্তর করার জন্য আপনাকে উপজেলা কিংবা জেলা নির্বাচন কমিশন অফিসে গিয়ে আবেদন করতে হবে।

(২) পুরাতন আইডি কার্ড দিয়ে স্মার্ট কার্ড নাম্বার দেখার উপায়?

অনলাইন থেকে ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার পর জাতীয় পরিচয় পত্রের সংখ্যার যে নম্বরটি রয়েছে এটি হচ্ছে আপনার স্মার্ট কার্ডের নাম্বার।

শেষ কথা

প্রত্যাশা করি আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আজ আমরা আপনাকে, পুরাতন আইডি কার্ড চেক করার নিয়ম, পুরাতন আইডি কার্ড ডাউনলোড করার নিয়ম ও পুরাতন আইডি কার্ড সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছি। আপনি যদি এখনো আপনার পুরাতন আইডি কার্ডটি চেক না করে থাকেন তাহলে এখনই পুরাতন আইডি কার্ড চেক করুন অনলাইনে।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *