ভোটার আইডি কার্ড কতবার সংশোধন করা যায় (আপডেট তথ্য)

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন সম্পর্কিত আমাদের অনেকের প্রশ্ন রয়েছে যে, ভোটার আইডি কার্ড কতবার সংশোধন করা যায় ? প্রকৃত পক্ষে ভোটার আইডি কার্ড মাএ ১ বার সংশোধন করা যায় তবে এই পরিবর্তন অবশ্যই যুক্তিযুক্ত হতে হবে। আজকের এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আজ আমরা আপনাকে “ভোটার আইডি কার্ড কতবার সংশোধন করা যায়” ও ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানাবো। সেহেতু এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
২০০৮ সালের পরবর্তী সময় থেকে জাতীয় পরিচয় পএ অর্থাৎ ভোটার আইডি কার্ড দেওয়ার পর থেকে ভোটার আইডি কার্ডে বিভিন্ন রকমের ভুলের অভিযোগ পাওয়া যায়। আর এই ভুলের কারণে নাগরিকদের নানা ধরনের সমস্যা্ ও হয়রানিতে পড়তে হয়। তবে এ সমস্যা থেকে সমাধানের উপায় হিসেবে জাতীয় নির্বাচন কমিশন বেশ কিছু সমাধানের উপায় জানিয়েছেন।
ভোটার আইডি কার্ড কতবার সংশোধন করা যায়
ভোটার আইডি কার্ড সর্বোচ্চ ১ বার সংশোধন করা যায়। তবে ভোটের আইডি কার্ড সংশোধনের স্বপক্ষে যুক্তিযুক্ত প্রমাণ পত্র উপস্থাপন করতে হবে,না হলে উক্ত সংশোধনের আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না।
ভোটের আইডি কার্ড সংশোধন করতে সর্বোচ্চ কতদিন সময় লাগে
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে সর্বোচ্চ ১ কর্ম দিবস থেকে ৪৫ তম কর্ম দিবস পর্যন্ত সময় প্রয়োজন হয়। তবে কিছু ক্ষেত্রে এই সময়ের পরিমাণ দীর্ঘ হতে পারে আবার সময়ের পরিমাণ কম হতে পারে।
ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য কিভাবে সংশোধন করা যায়?
ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য সাধারণত দুইটি উপায়ে সংশোধন করা যায়। এই দুইটি উপায় হচ্ছে অনলাইনের মাধ্যমে উপযুক্ত প্রমাণপত্র প্রদান করে আয় ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের আবেদন করা যায় ও স্বশরীরে আবেদনকারীকে উপজেলা বা জেলা নির্বাচন অফিস গিয়ে ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য সংশোধনের আবেদন করা যায়। এক্ষেত্রে আবেদনের স্বপক্ষে যে সকল কাগজপত্র প্রয়োজন হবে তা অবশ্যই আবেদনের সময় প্রদান করতে হবে।
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কি কি কাগজপত্র লাগে
সাধারণত এক এক ধরনের তথ্যের পরিবর্তনের জন্য এক ধরনের কাগজপত্র প্রয়োজন হয়। তবে অত্যাবশ্যক যে সকল কাগজপত্র প্রয়োজন হয় তার মধ্যে রয়েছে:
- জন্ম নিবন্ধন সনদ। অবশ্যই জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করা থাকতে হবে। যদি আপনি না জেনে থাকেন আপনার জন্ম নিবন্ধন অনলাইন কিনা সে ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন অনলাইন যাচাই কারণ।
- আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী সার্টিফিকেট প্রদান করতে হবে।
- আবেদনকারী যদি বিবাহিত হয়ে থাকেন তাহলে ম্যারেজ সার্টিফিকেট অর্থাৎ বিবাহের কাবিননামার অনুলিপি প্রচার করতে হবে।
- ড্রাইভিং লাইসেন্স বা পাসপোর্ট যদি থেকে থাকে তাহলে প্রদান করা ভালো হবে।
- যদি জন্ম নিবন্ধন এর পিতার নামে বা মায়ের নামে ভুল থাকে সেক্ষেত্রে পিতার ও মায়ের আইডি কার্ডের ফটোকপি যুক্ত করতে হবে। যদি ভোটার আইডি কার্ডে স্বামীর নামে ভুল থাকে তাহলে স্বামীর আইডি কার্ডের ফটোকপি যুক্ত করতে হবে।
- আবেদন করে যদি সরকারি চাকরিজীবী হয়ে থাকে তাহলে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট যা প্রয়োজন হবে তা নির্বাচন কমিশন অফিস থেকে জানিয়ে দিবে। যেমন : প্রত্যয়নপত্র ইত্যাদি।
- বাসস্থান পরিবর্তনের ক্ষেত্রে অবশ্যই চেয়ারম্যানের স্বাক্ষরিত প্রশংসাপত্র ও অন্যান্য ডকুমেন্ট অবশ্যই যুক্ত করবেন।
- রক্তের গ্রুপ পরিবর্তনের ক্ষেত্রে অবশ্যই রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট প্রদান করতে হবে।
ভোটার আইডি কার্ডের কোন সংশোধন করা হলে কোন রেকর্ড রাখা হয় কি?
হ্যাঁ অবশ্যই, ভোটার আইডি কার্ডের সকল সংশোধনের রেকর্ড কেন্দ্রীয় ডাটাবেজে সংরক্ষিত থাকে। আপনি অফলাইনে বা অনলাইনে এসে মাধ্যমেই ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করুন কেন্দ্রীয় ডাটাবেজে সে সকল সংশোধন সংরক্ষিত থাকে।
অবিবাহিত কিন্তু পিতার নাম না লিখে স্বামীর নাম লেখা হয়েছে সংশোধনের উপায় কি?
যদি অবিবাহিত হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে পিতার নামের স্থানে যদি স্বামীর নাম লেখা হয় সেক্ষেত্রে আপনি বিবাহিত নন এ মর্মে প্রয়োজনীয় প্রমাণাদিসহ আবেদন করুন।
ভুলক্রমে পিতা বা স্বামী বা মাতাকে মৃত হিসেবে উল্লেখ করা হলে সংশোধনের উপায়
ভুলক্রমে যদি পিতা বা স্বামী বা মাতা কে মৃত হিসেবে উল্লেখ করা হয় তাহলে আইডি কার্ডের এই পরিবর্তন সংশোধনের জন্য জীবিত বাবা-মা বা স্বামীর জীবিত থাকার প্রমাণপত্রসহ আবেদন করতে হবে। এক্ষেত্রে যে সকল কাগজপত্র প্রয়োজন হতে পারে যেমন: উক্ত জীবিত ব্যক্তির মেডিকেল টেস্ট রিপোর্ট, জাতীয় পরিচয় পত্র।
বিবাহের পর স্বামীর নাম সংযোজন বা পরিবর্তনের প্রক্রিয়া কি
বিবাহের পর আর স্বামীর নাম সংযোজন বা পরিবর্তনের জন্য বিবাহের নিকাহনামা বা ম্যারেজ সার্টিফিকেট ও স্বামীর আইডি কার্ড এর ফটোকপি সংযুক্ত করে NID Registration wing বা আপনার উপজেলার নির্বাচন কমিশন অফিসে আবেদন করুন।
বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে,ভোটার আইডি কার্ড থেকে স্বামীর নাম কিভাবে বাদ দিতে হবে?
বিবাহ বিচ্ছেদের সংক্রান্ত কাগজপত্র যেমন ডিভোর্স লেটার বা তালাকনামা আবেদনের পত্রের সাথে সংযুক্ত করে NID Registration wing বা আপনার জেলা বা উপজেলা নির্বাচন কমিশন অফিসে আবেদন করুন।
ভোটার আইডি কার্ডে পেশা পরিবর্তন করতে চাই এক্ষেত্রে করণীয় কি
যদিও এখন পর্যন্ত ভোটের আইডি কার্ডে পেশা তথ্যটি মুদ্রণ করা হয় না তবে আপনি যদি চান সে ক্ষেত্রে পরিবর্তনের জন্য জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট কিংবা উপজেলা বা জেলা পর্যায়ের নির্বাচন কমিশন অফিসে প্রয়োজনীয় প্রমাণপত্র প্রদান করে ভোটের আইডি কার্ডের উল্লেখ করার পেশা পরিবর্তন করতে পারবেন।
ভোটের আইডি কার্ডের ছবি অস্পষ্ট, এক্ষেত্রে করণীয় কি?
সাধারণত ভুলবশত কিছু নাগরিকের ভোটার আইডি কার্ডের ছবি অস্পষ্ট সমস্যাটি দেখা যায়। আবার অনেক নাগরিক পাসেন যাদের ভোটার আইডি কার্ডের ছবি তারা পরিবর্তন করতে চান। ভোটের আইডি কার্ডের ছবি পরিবর্তন এর জন্য সরাসরি উপজেলা বা জেলা নির্বাচন কমিশন অফিসে গিয়ে আবেদন করতে হবে ও ছবি তুলতে হবে।
নিজের নাম বা বাবার নাম বা মায়ের নাম বা স্বামীর নামের বানান ভুল হলে করণীয় কি?
বানান ভুল হওয়ার ক্ষেত্রে সংশোধনের জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট, জন্ম নিবন্ধন সনদ (অবশ্যই অনলাইন হতে হবে), নাগরিকত্ব সনদ (চেয়ারম্যানের নিকট হতে সংগ্রহ করতে হবে অবশ্যই স্বাক্ষরিত হতে হবে), ম্যারেজ সার্টিফিকেট বিবাহ বিবাহ নিকাহনামা প্রদান করতে হবে বাবা ও মা এর ক্ষেত্রে তবে উক্ত নাগরিক যদি নারী হন ও বিবাহিত হন সেক্ষেত্রে তার স্বামীর আইডি কার্ড সহ বিবাহের নিকাহনামা প্রদান করতে হবে।
পিতা বা মাতা মৃত হয়ে থাকে আমি তো উল্লেখ করতে হলে কি কি করতে হবে
পিতা বা মাথা যদি মৃত হয়ে থাকেন তাহলে ভোটের আইডি কার্ডে আমি তো উল্লেখ করতে চাইলে তাদের মৃত সনদপত্রটি দাখিল করতে হবে।
নাগরিকের ডাকনাম অন্য নামে নিবন্ধিত হলে সংশোধনের জন্য কি কি ডকুমেন্ট প্রয়োজন হবে?
নাগরিকের ডাকনাম অন্য নামে নিবন্ধিত হলে সংশোধনের জন্য নাগরিকের শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র, ম্যাজিস্ট্রেটের কোর্টের সম্পাদিত এফিডেভিট ও জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি পএ প্রদান করতে হবে,ওয়ারিশ সনদ প্রয়োজন হবে, আপনি যে এলাকায় বসবাস করছেন অর্থাৎ ইউনিয়ন বা পৌর বা সিটিকর্পোরেশন হতে আপনার নাম সংক্রান্ত প্রত্যয়নপত্র ও প্রশংসা পত্র না দিতে হবে।
তবে আবেদনকারীর পিতা-মাতা পরিচয়পত্রের সত্যায়ন কপি প্রয়োজন হবে। আবেদন করেছে যে বিবাহিত হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে স্ত্রী/স্বামীর জাতীয় পরিচয় পত্রের শয়তান কবি প্রদান করতে হবে।
ঠিকানা পরিবর্তনের বা সংশোধন এর ক্ষেত্রে কি কি করতে হবে
ঠিকানা পরিবর্তন অর্থাৎ শুধুমাত্র আবাসস্থল পরিবর্তনের কারণে অনেক সময় না ভোটের আইডি কার্ডের আবাসস্থল অর্থাৎ ঠিকানা পরিবর্তনের জন্য অনলাইন কিংবা উপজেলা নির্বাচন কমিশন অফিসে গিয়ে আবেদন পত্রটি জমা দিতে হবে।
একই পরিবারের বিভিন্ন সদস্যের কার্ডে বাবা ও মায়ের নাম ভিন্ন ভিন্ন ভাবে লেখা হয়েছে কিভাবে সংশোধন করা যায়?
একই পরিবারে একই পিতা-মাতার ভিন্ন ভিন্ন সন্তানদের আইডি কার্ডে যদি পিতা মাতার নামে ভিন্ন ভিন্ন তথ্য থাকে তাহলে উক্ত সকল আইডি কার্ড সহ পিতা মাতার আইডি কার্ড উপজেলা নির্বাচন অফিস কমিশন অফিসে গিয়ে আবেদন করতে হবে।
শিক্ষাগত যোগ্যতা নেই কিন্তু ভুলবশত শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রদান করেছিলাম সংশোধনের জন্য করনীয় কি?
শিক্ষাগত যোগ্যতা নেই কিন্তু ও ভুলভ্রষ্ট শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রদান করে যদি থাকেন সে ক্ষেত্রে আপনি ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে উক্ত শিক্ষাগত যোগ্যতা নেই এই মর্মে একটি ফলকনামা করে এর কপি সহ সংশোধনের জন্য আবেদন করুন উপজেলা নির্বাচন কমিশনের অফিস থেকে।
রক্তের গ্রুপ অন্তর্ভুক্ত বা সংশোধনের জন্য করণীয় কি?
রক্তের গ্রুপ ও অন্তর্ভুক্ত বা সংশোধন করার জন্য গ্রুপ নির্ণয়ের ডায়াগনোসটিক রিপোর্ট উপজেলা বা জেলা নির্বাচন কমিশনের অফিসে গিয়ে আবেদন জমা করুন।
স্বাক্ষর সংশোধনের করতে করনীয় কি?
স্বাক্ষর সংশোধনের জন্য সাক্ষ্য নতুন স্বাক্ষরের নমুনা সহ গ্রহণযোগ্য প্রমাণপত্র সংযুক্ত করে আবেদন করতে হবে। তবে আপনাকে মনে রাখতে হবে যে স্বাক্ষর একবারই পরিবর্তন করা যায়।
প্রয়োজনীয় প্রমাণপত্র ছাড়া কি ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করা যায়
প্রয়োজনীয় প্রমাণপত্র ছাড়া ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করা যায় না এ ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই প্রয়োজনীয় প্রমাণপত্র সংগ্রহ করে ও তারপর আবেদন করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি উপজেলা নির্বাচন অফিসে পূর্বের যোগাযোগ করে দায়িত্বশীল কর্মকর্তার নিকট হতে চেয়ে নিতে পারেন কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন হবে।
এনআইডি কার্ড সংশোধন চেক করার উপায়
এনআইডি কার্ড সংশোধনের আবেদনপত্র জমা দেবার পর পর এনআইডি কার্ড সংশোধন চেক করা খুব সহজ। এক্ষেত্রে আপনাকে যে সকল ধাপ অনুসরণ করতে হবে:
- আপনার অ্যাকাউন্টে লগইন করতে service.nidw.gov.bd ওয়েবসাইট প্রবেশ করুন । যদি পূর্বে অ্যাকাউন্ট রেজিস্টার না করে থাকেন তাহলে অ্যাকাউন্ট রেজিস্টার করুন।
- অ্যাকাউন্টে লগইন করার পর যদি “আবেদনটি পেন্ডিং রয়েছে” লেখা দেখায় তাহলে বুজতে হবে আবেদনটি এখনো প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। যদি “আবেদনটি বাতিল করা হয়েছে” লেখা প্রদর্শন হয় হয় তাহলে আপনার সংশোধনের আবেদনটি বাতিল হয়েছে। তবে যদি “আবেদনটি গ্রহণ করা হয়েছে / আবেদনটি সফল হয়েছে ” লেখা প্রদর্শিত হয় তাহলে বুঝতে হবে আপনার সংশোধনের আবেদনটি গৃহীত হয়েছে ও আপনার তথ্য পরিবর্তিত হয়েছে।
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত টাকা লাগে
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত টাকা প্রয়োজন হবে সেটি সম্পূর্ণ নির্ভর করে আবেদনের প্রকারের উপর। ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে সর্বনিম্ন ১১৫ টাকা থেকে ৩৫০ টাকা পর্যন্ত প্রয়োজন হয়।
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন ফরম pdf
কম্পিউটার আইডি কার্ড সংশোধন ফরম pdf আকারে পেতে চাইলে services.nidw.gov.bd/resources/forms/New_Correction_Form.pdf থেকে pdf ফাইলটি সংগ্রহ করুন অথবা উপজেলা বা জেলা নির্বাচন কমিশন অফিস থেকে ফটোকপি সংগ্রহ করুন।
আরও দেখুনঃ ভোটার আইডি কার্ড বয়স সংশোধন ফরম
শেষ কথা
প্রত্যাশা করি আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে, ভোটার আইডি কার্ড কতবার সংশোধন করা যায় ও ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছি। ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন সম্পর্কিত কোনো প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করে আমাদের জানাতে পারেন।